ফর্মটি পুরন করতে সমস্যা হলে কল করুন ০১৬০১ ৮৩ ৪১ ৭৩
ফর্মটি পুরন করে যারা আগ্রহী হবেন তাদের প্রর্তেকের সাথে আমরা আমাদের প্লান শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ্।
সফলতার জন্য প্রয়োজন প্রতিভার সাথে ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম
এক. কঠোর পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। সৌভাগ্য নিয়েই পৃথিবীতে কোনো মানুষের জন্ম হয় না। কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়ে নিতে হয়। পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে। উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমের সমষ্টিই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজও সহজ হয়। জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনো তার ভাগ্যকে গড়ে তুলতে পারেনি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। শুধু প্রতিভা দিয়েই সফলতা অর্জন হয় না। সফলতার জন্য প্রতিভার সাথে প্রয়োজন ধৈর্য, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম। একাগ্রচিত্তে পরিশ্রম করে যান সফলতা একদিন আপনার দরজায় কড়া নাড়বে
দুই. নিজের কাজ বুঝে নিন। আপনাকে কী কী কাজ করতে হবে, কীভাবে করতে হবেÑ তা প্রথমে জেনে নিন, বুঝে নিন। তাহলে সহজে তা সম্পন্ন করতে পারবেন। সব পেশার ক্ষেত্রেই কাজকর্মে দেখতে সুন্দর, গোছানো ও পরিপাটি হওয়াটা একটা বাড়তি গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিন. নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতন হোন। যে কাজটি করবেন, তা সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে কাজ করলে সফল হওয়া যায় না।
চার. আপনাকে সবসময় কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কাজের রুটিন তৈরি করতে হবে। আপনি কোনো কাজ, কখন, কীভাবে করবেন তার জন্য অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করে নিন। কোলাবোরেশন, নেটওয়ার্কিং এবং যোগাযোগ নতুন চিন্তা, নতুন কর্মপন্থা, নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে। তবে নেটওয়ার্কটি অবশ্যই সৎ ও উদ্দেশ্য বহুল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পাঁচ. যতটা পারেন বেশি করে নিজেকে গুছিয়ে নিন। এতে আপনার কর্মপরিবেশ সুন্দর হবে, কর্মস্পৃহা বাড়বে।
ছয়. শুরু থেকেই সক্রিয় থাকুন। যে কোনো পেশায় কাক্সিক্ষত উন্নতির জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন।
সাত. আপনাকে যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে হবে।
আট. নিজের দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হোন। কর্মজীবনে সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজের কাজকে সফলভাবে শেষ করতে পারা।
নয়. সঠিকভাবে ও সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করুন। সফলতার পূর্বশর্ত হচ্ছে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কাজটি করা। আপনার করণীয় কাজগুলোকে গুরুত্বের ক্রমানুসারে সাজান। প্রতিদিন সকালে কাজের একটা তালিকা করে ফেলবেন, তারপর গুরুত্বের ক্রমানুসারে সম্পন্ন করুন। প্রতিটা কাজ করতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে সেই অনুযায়ী একটি চার্ট তৈরি করুন। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে কাজ করতে শিখুন এবং সুন্দর করে সম্পন্ন করুন। কারণ আপনার কাজের যদি কোনো টাইম লাইন বা সময়সীমা নির্ধারিত না থাকে তাহলে কখনো আপনি এটা যথাসময়ে সম্পন্ন করতে পারবেন না। ক্রমানুসারে কাজ শেষ করুন। দেখবেন আপনার সকল কাজ যথাসময়েই সঠিকভাবে শেষ হয়ে গেছে। সফলতার জন্য দক্ষতার উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু দক্ষতার বিষয়টি অনেক ব্যাপক এবং একটি দক্ষতাই আরেকটি দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। আপনি শুধু একটি বা দুটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে সফলতা লাভ করবেন, এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। সফলতা লাভের জন্য যত বেশি দক্ষতা অর্জন করা যায়, ততই ভালো। আর এজন্য প্রয়োজন বেশি বেশি কাজ করা।
দশ. সফলতার জন্য সততা একটি বড় গুণ। অসৎ হয়েও লাভ নেই। অসৎ পথে আপনি বিপুল সম্পদ অর্জন করলেও তা কিন্তু আপনি আপনার জীবদ্দশায় ভোগ করে যেতে পারছেন না। আপনার মৃত্যুর পর আপনার অর্জিত সম্পদ ভোগ করবে আপনার উত্তরসূরিরা। তারা কিন্তু আপনার পাপের দায়ভার নেবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন কোনো এক বৈঠকে উপস্থিত সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছো, যারা পরের সম্পদের জন্য পরিশ্রম করো?’ উত্তরে উপস্থিত সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুগণ বলেন, ‘আমরা সবাই নিজের জন্য পরিশ্রম করি।’ তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যে খাবারটি তুমি খেয়ে হজম করো, যে কাপড় তুমি পরিধান করে ছিঁড়ে ফেলো, আর যে সম্পদ তোমার জীবদ্দশায় (ইসলামের বিধান অনুযায়ী) ব্যয় করো এটুকুই তোমার নিজের সম্পদ।’ নিজের কাছে সততা সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস। সৎ মানুষকে সবাই বিশ্বাস ও সম্মান করে। আপনাকে সত্যবাদী হতে হবে এবং ওয়াদা করলে সেটা যে কোনো মূল্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। আপনার গ্রাহকদের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, কর্মীদের জন্য, পরিবারের জন্য, বন্ধুদের জন্য এবং নিজের জন্য, যেটা ঠিক সেটাই করবেন সততার সঙ্গে।
এগারো. অন্যের/সমাজের জন্য কিছু করুন।
বারো. কাজকে বোঝা মনে না করে সহজভাবে গ্রহণ করুন। কাজের খুব চাপ হলে সব ভুলে গিয়ে ৫ মিনিট চুপচাপ বসে থাকুন, একটু হাঁটাহাঁটি করুন। কাজের চাপ কমানো একদিনের অনুশীলন নয়। অনুশীলন করতে থাকুন কাজের চাপ কমে যাবে।
তেরো. আত্মবিশ্বাস ছাড়া কোনো কাজেই সফলতার আশা করা যায় না। বলা হয়, আত্মবিশ্বাসের সাথে শুরু করার মানেই হলো অর্ধেক কাজ করে ফেলা (ডবষষ নবমরহরহম রং যধষভ ফড়হব)। আত্মবিশ্বাস মানে নিজকে চেনা, নিজের সৃজনশীলতার ওপর আস্থা রাখা, হীনম্মন্যতা দূর করা, দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনে আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করা।
চৌদ্দ. নতুন প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো কোনো সহজ কাজ নয়। যে কোনো উদ্যোক্তাই কঠিন সময়েও কাজ করে যাওয়ার প্রবল মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যায় এবং মাঝে মাঝে সে বড় কিছু করে ফেলে। যারা সিরিয়াস তারা যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত থাকে যাই হোক না কেন। একটি বিষয়ে তারা ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়, তারা কখনও একসাথে সবকিছু করতে গিয়ে ঝামেলা তৈরি করে না। আপনাকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি ও কাজের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। আন্তরিকতার সাথে প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনা করলে কাজের অগ্রগতি হয়। ফলে প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। তাই আপনাকে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।
পনেরো. অনেকেই একা একা কাজ করতে এবং সমস্যার সমাধান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু পরিবর্তনশীল বিশ্বের আধুনিক অফিস পরিচালনা ব্যবস্থায় টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ সম্পাদনের সাফল্যকে সর্বাগ্রে মূল্যায়িত করা হয়েছে। ফলে নিজেকে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করার উপযোগী রূপে গড়ে তুলুন।